লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের পাথর ও বালু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস বিল্ডার্স কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তন্ময় চৌধুরী ও রামগতি পৌরসভার সার্ভেয়ার মামুন, উপ-প্রকৌশলী রিফাত ও স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী মাঈন উদ্দীনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে চোরাইভাবে বিক্রিকৃত পাথর ও সিলেকশান বালু সরবরাহকালে স্থানীয় লোকজন তিনটি ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টর হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এ সময় অন্য আরও ছয়টি ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টর দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়।
(১২ জুন) বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সেবাগ্রাম এলাকার মেঘনানদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে নদী ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাত ঘনিয়ে আসলেই প্রতিনিয়ত ট্রাকে ট্রাকে বিক্রি হতো মেঘনার তীর সংরক্ষন বাঁধের পাথর ও সিলেকশন বালু। গত তিন মাস ধরে এমন ঘটনা ঘটলেও অবশেষে স্থানীয় জনতা হাতে-নাতে আটক করেছে তিনটি ট্রাক্টরট্রলি। পালিয়ে গেছে আরো ছয়টি ট্রাক্টরট্রলি এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস বিল্ডার্স কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজারসহ ট্রাক্টর টলির মালিক মাঈন উদ্দীন।
নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের ব্লক বানাতে আনা এসব পাথর বালি বিক্রির সাথে সম্পৃক্ত বিশ্বাস বিল্ডার্স কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোজাম্মেল হক, আটককৃত ট্রাক্টর টলির মালিক ও স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী মাঈন উদ্দীন ও রায়হান।
নদীর পাড়ে বসবাসরত একাধিক ব্যাক্তি বলেন, নদী বাঁধ প্রকল্প নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এসব দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রামগতিবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।
এবিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ৩টি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ বা অভিযোগ করেনি। পরবর্তীতে এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।